আজ জাবের, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীর চরকগাছিয়া গ্রামে এক ভুমিহীন পরিবারের নারীকে মারধোর করে চাঁদা নাদিলে গ্রাম ছাড়া করার হুমকির বিচার চেয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুমিহনি নারী নাজমা বেগম (৪০)। জানা গেছে, উপজেলার চরকগাছিয়া গ্রামের ভুমিহীন মাসুদ মোল্লা ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম ২৪৭আম/২০০৬-২০০৭ নং বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে চান্দখালী মৌজায় ১ নং খতিয়ানের দাগ নং ৯৬৯ /২এ ১ একর জমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হয়ে ভোগ দখল করে আসছেন । এবং উক্ত জমিতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে দোকান ঘর স্থাপন করে ব্যবসা করে জীবন চালাচ্ছেন ।
কিন্তু গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ৩০ এর সময় চরকগাছিয়া গ্রামের ছত্তার হাওলাদারের পুত্র ভুমি দস্যু নামে খ্যাত লোটাস হাওলাদার (৪০) ও সোহেল হাওলাদার (৩৫) এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নাজমা বেগমের দোকান ঘরের মধ্যে অনদিকার প্রবেশ করে প্রথমে নাজমার ছেলে নাজমুল (১৭)কে মারধোর করে তখন নাজমা বেগম বাধা দিতে গেলে তাকে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং দোকানের ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত লাগ ১ লাখ টাকা ছিণিয়ে নিয়ে যায়।
নাজমা বেগম ও তার ছেলের ডাকাডাকিতে স্থানীয় লোকজন চলে আসায় সন্ত্রাসীরা নাজমা ও তার ছেলে নাজমুলকে রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায় । স্থানীিয় লোকজন নাজমা ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় নাজমা বেগম বাদী হয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভুমি দস্যু লোটাস হাওলাদার (৪০) সোহেল হাওলাদার (৩৫ ) অজ্ঞাত৪/৫জনকে আসামী করে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ প্রদান করেন।
মামলা দায়ের করার পর ভুমি দস্যু লোটাস হাওলাদার নাজমা বেগমকে মামলা প্রত্যাহার ও ২ লক্ষ টাকা চাদা না দিলে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছেন প্রতিনিয়ত। বর্তমানে নাজমা বেগম ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছেন সোমবার সকালে অসহায় নাজমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমি গরীর মানুষ সরকার আমাকে জমি দিয়েছে আমি সেই জমিতে দোকান করে কোন রকম ব্যবসা করে জীবন চালাই। লোটাস হাওলাদার আমার কাছে দুটি দোকান ঘর এবং ২ লাখ টাকা ষচাঁদা চায় আমি তাকে দোকান ঘর ও টাকা দিতে অপরাগতা জানাণোর পর থেকেই লোটাস হাওলাদার আমার ছেলে ও আমাকে মারধোর করে । আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে লোটাস হাওলাদার তার বিরুদ্দে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখোয়াত হোসেন তপু বলেন, মামলার তদন্ত চলছে যথা সময়ে কোর্টে প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।