মোঃ মাসুম বিল্লাহ ঃ-নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ২৫/১১/২০২৪ইং রোজ সোমবার দুপুর ১২ঘটিকার সময় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কামতাল মালিভিটা নুরুন আলা নূর এসহাকিয়া হোসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব কুদরত আলী মাস্টার সাহেবের নামে নেইম ফলক উদ্বোধন হয়।
এই সময় কুদরত আলী মাস্টার সাহেব বলেন এই মাদ্রাসার মন্জুরী এভাবে হয়নি অকালান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে হয়েছে।
এই মাদ্রাসার জন্য ধর্ম মন্ত্রী কে মাদ্রাসার ময়দানে দাওয়াত দিয়ে আসি।
ধর্ম মন্ত্রী ও ধর্ম প্রতি মন্ত্রীর একবার নয় কয়েকবার যাওয়ার পরও কাগজ হাতে পাইনি। কারন মন্ত্রণালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে হলে পাষ দরকার। এই পাষের জন্য যাই সারা বাংলাদেশের মসজিদ সমাজের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোঃ নওয়াব আলী ভূইয়া
তার লালমাটিয়া অফিসে তখন নওয়াব আলী ভূইয়া দুইটা পাষ ব্যাবস্থা করেন
দুইটা পাষ নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অফিসে প্রবেশ করি তখন প্রতিমন্ত্রী বলে এই কাগজটা পিওনের মাধ্যমে যাবে তখন নওয়াব আলী ভুইয়া রাগ করে বলেন আমার কাগজ আমার হাতে দেন তখন এক পর্যায়ে আমার হাতে দেয়
তখন ঐ কাগজ হাতে দিয়ে বলেন দ্রুত আপনি এই কাগজ নিয়ে মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অফিসে জান আমি ফোন করে দিয়েছি। তখন আমি সিএনজি নিয়ে দ্রুত তাহার অফিসে যাই গিয়ে দেখি স্যার অফিস থেকে বাহির হয়ে যাচ্ছে ঐ জায়গাই স্যার কে বললাম আমাকে নওয়াব আলী সাহেব পাঠিয়েছে তখন তিনি বলল আপনি আসছেন
তারাতারি আপনার কাগজটাদেন।
কাগজটা দিয়ে চলে আসলাম
দুইদিন পর আবার গেলাম যাওয়ার পর শুনতে পারলাম আমার মাদ্রাসা মন্জুরী হয়েছে। এতকষ্টের পর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করলাম ১৯৮৩ইং সালে।
অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন
কুদরত আলী মাস্টার সাহেব এই প্রতিষ্ঠান করাতে এলাকার মানুষ সুশিক্ষিত হয়েছে এবং অনেক আলেম হয়ে মাদ্রাসা থেকে বাহির হয়েছে। এবং অনেক অসহায় গরিব মানুষ ফ্রিতে পড়া লেখার সুযোগ পেয়ে ছিল।
প্রাক্তন ছাত্র মাওলানা সাত্তার সাহেব বলেন যদি এই মাদ্রাসা মাস্টার সাহেব প্রতিষ্ঠা না করতো তাহলে আমার হয়তো পড়ালেখা করার সুযোগ হতো না কারণ আমি ছিলাম গরিব অসহায় আমাকে সম্পূর্ণ বই থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ ফ্রিতে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এই মাস্টার সাহেব। তাই ওনার ঋণ শোধ করা যাবেনা।
মাস্টার সাহেবের বড় ছেলে মমিন আলী বলেন কামতাল ছিল হাত তাল জুয়া মদের আস্তানা এবং এই জায়গায় মানুষ আত্মীয়তা করতে চাইতো না এত খারাপ জায়গা ছিল ওই জায়গাতেই মাস্টার সাহেব অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে বেহেস্তের বাগান গড়ে তুলেছেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ নুরন আলী মমিন, মোহাম্মদ আলী, মনজুর হোসেন, অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা সাত্তার সাহেব,প্রাক্তন ছাত্র মাওলানা ছাত্র সাহেব, আব্দুল ওহাব,রেজাউল করিম, গাফফার আব্দুল হাই,মোঃ মনির হোসেন, মোঃ মাসুম বিল্লাহ মহিউদ্দিন, মাওলানা জাকির হোসেন,সাংবাদিক জামান, সাংবাদিক সানাউল্লাহ, সাংবাদিক আক্তার প্রমুখ।